*মাঝে মাঝেই আমি গিয়ে বসে থাকি এক গৌরবময় ইতিহাসের আঁতুড় ঘরে – স্মৃতির জাবর কাটতে থাকি উদ্দাম তারুন্যের ‘ যখন যুদ্ধে যাবার ছিল শ্রেষ্ঠ সময় ’ – ঠিক এই স্বর্গধাম থেকেই একদিন লক্ষ লক্ষ জনতার হৃদয় থেকে একটি হাত উঠে গিয়ে ছুঁয়েছিল বিশাল আকাশ – তর্জনী উঁচিয়ে বজ্র কন্ঠে ঘোষিত হয়েছিল ‘ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম – এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম – জয় বাংলা ‘ । নাম তার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান – যেখানে অবিরাম জ্বলছে ; বাঙ্গালীর আত্মত্যাগের বীরত্বগাঁথা শিখা চিরন্তন ।।
গতকাল ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ গিয়েছিলাম সেই জলসা ঘরে এবং বসেছিলাম অনেক্ষন – আর দেখিছিলাম মন ভরে অসংখ্য ছোট বড় মাছের বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দ অবাধ স্বাধীনতার ।।
তার পর এক সময় উঠে গেলাম – প্রবেশ করলাম রোমাঞ্চিত বেকার যৌবনের আনন্দ – বেদনার বহু স্মৃতিময় তীর্থ স্থান রমনা পার্কে ; যেখানে শতবর্ষের নির্জনতায় বসবাস করে সবুজ বনানীর বুকে আদিম জীব বৈচিত্র । প্রকৃতির এই আনন্দ অভিসারে আমিও যুক্ত হয়েছিলাম কাল – মনে হল সবাই কেমন যেন বহু যুগের চেনা – আমাকে বল্লো এতদিন কোথায় ছিলে বন্ধু ! বসে ছিলাম ক্যমেরা তাক করে আর অবাক বিস্ময়ে উপভোগ করেছিলাম বক , পানকৌড়ি আর কাঠ বিড়ালীদের অবাধ বিচরন আর উষ্ণ আলিঙ্গন । হঠাৎ এক সময় তারা মিশে গেলো আমার সাথে এক মোহনায় – একই ফ্রেমে আমার ক্যামেরায় – অপুর্ব এই দৃশ্য কল্প চির স্মরনীয় হয়ে গেলো নান্দনিক আলোর কাব্য মালায় …..