*বুয়েট দুই হাজারের মানব থেকে ২০১৯শে এসে কি বিবর্তিত দানব!
Is the #BUET became evaluative giant of revenge in 2019 ! from the human being BUET of the middle 90 – 2000 ..
ভাবছিলাম বুয়েট নিয়ে কিছু লিখবোনা ! কারন ৯০য়ের মাঝামাঝি থেকে ২০০০ এর মাঝা মাঝি পথের বুয়েট মনের গহীনে বেঁচে আছে এক শুভ্র সুন্দর শান্তিময় পরিবেশের বিদ্যাপীঠ হিসেবে । বুয়েটের সাম্প্রতিক নৃশংস হত্যাকাণ্ড বিষয়ে তাই অনেকের উপস্থাপনায় মন্তব্য করলেও এককভাবে কিছু লিখিনি ! কারন যে বুয়েট আমার আমাদের একদল আলোকআলোকচিত্র প্রেমী প্রজন্মের কাছে পরিচিত তার বাইরে গিয়ে অন্য রকম (হিংস্র মেধাবী রাজনীতির যাঁতাকলে পিষ্ঠ) বুয়েট নিয়ে লিখতে মন চাইছিলনা !
*আজ ১৬ অক্টোবর ২০১৯ সকাল থেকে স্মৃতির সরোবরে চলছিল সুনামী। তাই ফটোগ্রাফির একজন শিক্ষক হিসেবে ভীষন গর্বের সাথে মনে পড়ছে আজকের দিনটি । উপরের চবি (পত্র) দেখলে এবং একটু পড়লে আমার আজকের আনন্দ – বেদনার অনুভুতি গুলো বুঝা যাবে !বুয়েটে পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি – সেটা কল্পনাও করিনি কক্ষনও ।
বুয়েটকে আমার প্রথম দেখা ৯০ দশকের মাঝা মাঝির দিকে – যেদিন প্রথম বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির (ADPS) আমন্ত্রিত অতিথী শিক্ষক হয়ে তাদের পরিচালিত ফটোগ্রাফি কোর্সে এক্সপেরিমেন্টাল ফটোগ্রাফি বিষয়ে প্রশিক্ষন প্রদানের জন্য যোগদান করেছিলাম । আরও প্রশিক্ষক হিসেবে সেখানে তখন নিয়মিত ছিলেন সুপ্রিয় সজ্জন হাসান চন্দন,রশীদুন্নবী শুভ্র , সেলিম ভাই প্রমুখ। ADPS এর তখন সভাপতি ছিলেন আমাদের প্রিয় মুখ শাকুর মজিদ ভাই এবং তার একদল উত্তরসুরী নির্বাহী জাহেদী , কাশেফ , ইনান প্রমুখ ।
সুন্দর শুভ্র শান্তিপুর্ন সবুজে শ্যামলে ভরা নান্দনিক ক্যম্পাসে ভদ্রতা আর বিনয় ভরা পরিবেশ সেদিন মুগ্ধ করেছিল আমাদের ।এর পর বহুবার সেখানে গিয়েছি আমন্ত্রিত হয়ে । সর্বশেষ গিয়েছিলাম ১৬ অক্টোবর ২০০০ সালে । তখন আমি বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক ইনস্টিটিউট BPI এর অধ্যক্ষ ।আমার চোখে দেখা প্রতিভাধর এবং বিনয়ী এক ছাত্র হাসানের প্রজেক্ট the photographic institute of Bangladesh at agargaon Dhaka গাইড হিসেবে যা ২০০০ সালের প্রথম দিক থেকে শুরু হয় ।
নির্দিষ্ট (আজকের এই দিনে) দিনে বুয়েটের সুসজ্জিত অডিটোরিয়ামে উপস্থাপনা মঞ্চের সামনে ডক্টরেট ডিগ্রীধারী অন্য সব বাঘা বাঘা শিক্ষক/বিচারকদের সাথে বসলাম । প্রথম দিকে একটু অস্বস্তি বোধ করলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রফেসর সাহেবদের বিস্ময়কর বিনয়ী সহযোগিতায় মুগ্ধ হয়ে সেইদিনের সর্বশেষ উপস্থাপক হাসানের উপস্থাপনায় মনো্নিবেশ করলাম। উপস্থাপন শেষে পর্যালোচনার মাধমে সবাই তার মুল্যায়ন করলেন । সব শেষে শ্রদ্ধেয় সভাপতি সাহেব বলেন –
you are the guide of hasan in his project and you are the resource person to day. So it depends on you whether hasan will success or not! So please give your opinion – are you satisfied or not ? answer was I am satisfied with hasan’s successful presentation .
আমি আমার বাঁধ ভাঙ্গা অভিব্যক্তি ভেতরে পুষে রাখতে পারলামনা। বাইরে এসে অপেক্ষারত হাসানকে তার ফলাফলের সুখবরটা জানাতেই আমাকে জড়িয়ে ধরে চোখে মুখে যে অভিব্যক্তি প্রকাশ করলো তা ছিল স্বর্গীয় ।
*বুয়েটের সেই স্বর্গীয় পরিবেশ আবার ফিরে আসুক – মেধাবীরা দেশের আত্মায় বিলীন হয়ে মেধাবী দানবের বদলে মেধাবী মানুষে রুপান্তরিত হউক । বাংলা মায়ের অন্তর শুরু হউক সুভ্র সুন্দর সুখময় জলোচ্ছাস *