জন্ম তব বঙ্গে –
জন্ম তব বঙ্গে –আবহমান বাংলা মায়ের অঙ্গে
i feel proud to born in the holy place of bangladesh
the nature’s beauty , bounty and biodiversity
which we achieved by sacrificing a ocean of blood in 1971
through the great liberation war against pakistani occupation army
and their local collaborators !
……………………………………
ক্লাস সিক্সের বার্ষিক পরীক্ষার পুর্ব রাত্রে মা মারা যাওয়ার পর দিন মৌলভী বাবার হাত ধরে চোখের জলে পরীক্ষা পর্ব শেষ করা থেকে এই শশ্রুমন্ডিত (১৯৮০ – থেকে ৮৪র জুন । কারন সামরিক চিকিৎসা সার্ভিসের মেডিকেল ফটোগ্রাফি বিভাগ ঢাকা সেনানিবাসে বেসামরিক অফিসার হিসাবে যোগদানের পর থেকে গোঁপ- দাঁড়ি -চুল সব চোখের জলের বন্যায় ভাসতে ভাসতে উপড়ে ফেলতে হয়েছে ) মানুষটি জীবন বিবর্তনের দুঃসাহসিক অভিযাত্রা্র পরতে পরতে নানা ভাঙ্গা গড়া আর ভয়ংকর সব পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে করতে প্রায় ক্লান্ত হয়ে যখন একদিন চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ভাবছিলো ‘ অতিরিক্ত একজন কোনদিকে হেঁটে যাবে !’ ঠিক তখনি তার পৃথিবীতে দেবদুতের বেশে এক অলৌকিক আবাহন নিয়ে হাজির হলো আলোকচিত্র বা ফটোগ্রাফি – সেটা ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বর – তার পর আরমানিটোলা যুব কল্যান কেন্দ্রে সরকার পরিচালিত ফটোগ্রাফি ট্রেনিং সেন্টারে এক বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি এবং এজাজ খান (অধ্যক্ষ) স্যারের মত দেবতুল্য আলোকচিত্র ব্যক্তিত্তের সান্যিধ্য লাভ । এজাজ খান স্যার (বংশাল , ঢাকা – ছিলেন আলোকচিত্রাচার্য এম এ বেগ স্যারের আত্মার আত্মীয় এবং একজন নিবেদিত প্রান আলোকচিত্র ব্যক্তিত্ত , বাংলাদেশ সৌখীন নাট্য গোষ্টি ফেডারেশনের সভাপতি এবং বিশিষ্ট চলচিত্রকার যিনি ভাড়াটে বাড়ি সহ অনেক চলচ্চিত্রের নির্মাতা এবং যিনি মাত্র ৩৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরন করেন ।
যাই হউক ডিপ্লোমা শেষ করার পর আলোকচিত্রের দুঃসাহসিক নান্দনিক পথে দরবেশের বেশে (শশ্রুমন্ডিত অবয়বে) পথ চলা – ৮২ তে অনুষ্ঠিব্য বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমীর সহযোগিতায় বিপিএস এর দ্বিতীয় জাতীয় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় স্বর্ন পদক সহ প্রথম পুরস্কার লাভ এবং তার পর পরই আকু পুরস্কার সহ একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন এবং আলোকচিত্রকে নিয়ে আরও কত কি পাগলামি উদ্ভাবনী পরিক্ষা- নিরীক্ষা !
এর পর ৮৪ র ২রা জুন প্রতিরক্ষা সার্ভিসের (আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল সার্ভিস ঢাকা সেনানিবাস) মেডিকেল ফটোগ্রাফী বিভাগে সিভিল অফিসার হিসেবে চাকুরিতে যোগদান । নতুন , শ্রম , নতুন অভিজ্ঞতা , কঠোর নিয়ন্ত্রিত জীবন আর জীবনের টানা পোড়নের মধ্য দিয়েও আলোকচিত্র শিক্ষা ও শিল্প চর্চাকে সার্বজনীনতায় ছড়িয়ে দিতে সাংগঠনিক আন্দোলনে আলোকচিত্রের বটবৃক্ষ বিপিএস এবং বটবৃক্ষের জন্মদাতা আলোকচিত্রাচার্য এম এ বেগ স্যারের নেতৃত্তে্ব গভীর ভাবে নিজেকে জড়িয়ে ফেলা – এই সব মিলিয়ে শ্রমজীবি জীবনের ঘানিটানা অধ্যায় গুলো একেকটা গল্পের গদ্যময় উপখ্যান যা লিখে শেষ করা যাবেনা কোনদিন ! তবুও লিখার ইচ্ছা আছে প্রবল যদি সুযোগ পাই ।
সুতরাং শ্রমজীবি জীবন চলছে ফিল্ম আর ফিল্ম ক্যামেরা থেকে ডিজিটাল ক্যামেরা-পিক্সেল-সিসিডি/ ডিজিটাল ফিল্ম আর ইমেজ ফরমেশনের তালেতালে – চলতেই থাকবে আমরন ।
০১ জুলাই ২০২১
*মা
……………………
*ছোট বেলায় প্রাইমারি স্কুল থেকে বাড়ী এসে মাকে খুঁজে না পেলে বই খাতা ছুঁড়ে পেলে ছুটে যেতাম নিকট দুরেই মামা বাড়ী । সেখান থেকে মাকে আঁচল ধরে সবার সামনে দিয়ে টেনে হিছড়ে বাসায় এনে বলতাম – ‘মা ভাত দাও’ – কারন মা ভাত বেড়ে না দিলে ; না খেয়ে থাকলেও আর কারও হাতে বাড়া ভাত যে আমি খেতামনা ! এখন মনে হয় এতটা করা কি ঠিক হয়েছে! কারন এত সুখ যে সয়নি বেশী দিন! হাই স্কুলের দরজায় পা রাখার আগেই মা হারিয়ে গেছে নীলিমার বুকে- স্বর্গলোকে । তার পর ! নাহ – তার আর পর নাই ! ঠিকানার খোঁজে ঠিকানা বিহীন পথ চলা …………………।
* ছেলে বেলায় মা বকুনি দিলে তার লাগানো চারা গাছ গুলো টনে ছিঁড়ে ফেলতাম-মা আঁচলে চোখ মুছে আবার কোলে তুলে নিতেন-আছে এমন স্বর্গ কোথাও !
01 july 2021