১০৭ বছরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে – হেসে , খেলে , খুনসুটি কেটে আর স্মৃতি জাগানিয়া গল্প আসরে চার প্রজন্মের মধ্যমনি হয়ে আদর যত্নের মাঝে আনন্দ ধারায় প্লাবিত বাদল বালা রায়ের চলমান জীবন ।*
……………………………………………………………
বৃদ্ধাশ্রম সভ্যতার এ যুগে
পউষ সংক্রান্তি ও বাদল বালা রায়ের ১০৭ বছরের চলমান জীবনের চমৎকার গল্প – ৩০ চৈত্র ১৪২৮
–
a fascinating story of ongoing life of 107 years old Badal Bala Roy
14 January 2022 .
………………………………………………………………………………………।
# তথাকথিত আধুনিক অভিজাত সভ্য সমাজে যেখানে দিনেদিনে বাড়ছে দ্রুত হারে বৃ্দ্ধাশ্রমের সংখ্যা – সারাজীবন মেধা , মনন ও হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমের সুতায় যে মানুষটি, তিলে তিলে নির্মান করে ঘর-সংসার জেনারেশন , আগলে রাখে বুকের গহীনে স্নেহ আরা সোহাগ মাখা উত্তাপে , বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই সেই নিবেদিত মানুষটির শেষ ঠিকানা হয় বৃ্দ্ধাশ্রম অথবা তার নির্মিত প্রানপ্রিয় সংসারে অবহেলিত মানবেতর বন্দী জীবন যাপন !
তার বিপরীতে গতকাল পউস সংক্রান্তি ১৪২৮ (১৪ জানুয়ারি ২০২২) মেলায় দেখা গেল ভালো্বাসার বন্ধন কত শক্ত-কঠিন আর সম্মানের সুতায় বাঁধা। তাঁর এক ঝাঁক প্রিয় প্রজন্মের স্নেহ-মমতায় নির্মিত পাল্কিতে চড়ে ১০৭ বছরের শ্রদ্ধেয়া বাদল বালা রায় এসেছিলেন বলধারা মানিকগঞ্জের বিশাল বট্ববৃক্ষ তলে অনুষ্ঠিত পউষ সংক্রান্তির পুজো মঞ্ছ এবং তাকে ঘিরে বর্নাঢ্য লোকজ গ্রাম্য মেলার উৎসবে । প্রজন্মের স্নেহ আর তত্ত্বাবদানে বসেছিলেন আসনে-হারিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর ১০৭ সাত বছরের স্মৃতি বিজড়িত জীবন স্বরগের চুড়ায় ।
লোকজ সাংস্কৃতির বৈচিত্রময় জীবন ধারায় আবহমান বাংলা আর বাংগালী এক সত্ত্বায় বিলীন হয়ে মেতে উঠে এই সব দিবসে, আনন্দ-উচ্চাস প্রকাশের পসরা সাজিয়ে । পউস সংক্রান্তি তেমনি বাংলদেশের বিশেষ করে গ্রাম বাংলার তেমনি একটি ঐতিহ্যবাহী লোকজ উৎসব । বাংলা পঞ্জিকা মতে মকর / পৌষ সংক্রান্তি / সাকরাইন / নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয় প্রতি বছর পউষ মাসের শেষ দিবসে । পুজা-অর্চনা, লোকজ মেলা এবং গ্রামীন খেলা ধুলার সাথে প্রানের মিলনে গ্রাম বাংলার লোকজ জীবন ধারায় এক আনন্দ মুখর দিবস ।
ফিরে যাই ভাংগা গড়ার খেলায় মত্ত্ব ঘঠনা বহুল এই বৈচিত্রময় বসুমতির ১০৭ বছরের জীবন্ত স্বাক্ষী বাদল বালা রায়ের গল্প কথায় ! জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী বাদল বালা রায়ের জন্ম ১০ মে ১৯২৪ সালে মানিকগঞ্জ জেলায় সিঙ্গাইর উপজেলার বেতিলা গ্রামে । বর্তমানে তিনি বসবাস করেন একই উপজেলার বলধারা গ্রামে । তাঁর বাবা ছিলেন বজেন্দ্র বিশ্বাস এবং মা রেনুবালা বিশ্বাস । বালা রায় ৫ ছেলে ৩ মেয়ে সহ চতুর্থ প্রজন্মের জমিনে গর্বিত বটবৃক্ষ হিসেবে ৪৮ জন পারিবারিক সদস্যদের পরিচর্যার মাঝে শাখা প্রশাখা মেলা এখন প্রানবন্ত এক জীবন্ত মহীরুহ । তার প্রশান্ত ছায়া এখন প্রজন্মের এক আনন্দময় স্বর্গধাম ।
বাদল বালা রায় লাঠি ভর দিয়ে এখনও দিব্যি হেঁটে বেড়ান । বয়সের ভার এখনও তার প্রখর দৃষ্টি ও স্মৃতি শক্তিকে হার মানাতে পারেনি । তিনি এখনও চশমা ছাড়া সব কিছুই দেখতে পান এবং মহাযুদ্ধ থেকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং পরিবার – সমাজ থেকে শুরু করে ঘঠনা বহুল পৃথিবীর বহু সুখ- দুখের ঘঠনাবলী এখনও তার তাঁর স্মৃতিতে জীবন্ত যা তিনি মাঝে মাঝেই গল্পচ্ছলে তার প্রজন্ম পরিবেষ্টিত হয়ে অনর্গল বলতে থাকেন ।
ভাত মাছ তার প্রিয় খাবার । প্রিয় মাছ হচ্ছে রুপালী ইলিশ এবং জীবনে কখনও মাংশ খাননি । পান-চা -চকোলেট ও তাঁর প্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে । সুন্দর ও সৌন্দর্য্য প্রিয় বাদল বালা রায় পরিচ্ছন্ন-পরিপাটি এবং বেশ গোছালো জীবন যাপনে অভ্যস্ত । তিনি সব সময়েই স্নানের পরে প্রসাধনী হিসেবে লোশন বা ভেসলিন ব্যবহার করেন । তার প্রিয় খেলা লুডু এবং লুডু খেলায় তিনি ভীষণ পারদর্শী ।
এক বোন চার ভাইয়ের (যাঁরা সবাই এখন মৃত) মধ্যে তিনিই সবার বড় – এবং ২৮ বছর পুর্বে স্বামীকে হারিয়ে দিব্যি বেঁচে আছেন ভগবানের কৃপায় সুস্থ্য শরীরে । ঘঠনা বহুল জীবন পরিক্রমায় ১০৭ বছরের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাদল বালা রায় অত্র এলাকায় স্মরন কালের একজন বয়োবৃদ্ধ তরুনী । থাকুন আপনি আরও দীর্ঘ সময় বেঁচে , উদার পারিবারিক পরিবেশের মায়া মমতায় পরিবেষ্টিত ও পরিচর্যিত হয়ে , নির্মল আনন্দে ।
জলন্ত উদাহরন হউক বাদল বালা রায়ের জীবন সবার জন্য এবং আঘাত করুক তথাকথিত শিক্ষিত ও আধুনিক সভ্যতার মুখোশ পরা নিস্ঠুর পৃথিবীর নারকীয় বৃদ্ধশ্রম মঞ্চে ।
*বৃদ্ধাশ্রম এবং পারিবারিক অবহেলা-অনাদরের দুর্বিসহ বন্দী জীবন নিপাত যাক । ভালোবাসা আর সম্মানের বন্ধন অমর হউক ।*
# তথ্য সুত্র ঃ বকুল কুমার রায় (চতুর্থ প্রজন্ম) বাদল বালা রায়।
মাধ্যম – ই মেইল ১৮ জানুয়ারী ২০২২ ।
…………………………………………………………।।
https://bimboophoto.com/
© আবদুল মালেক বাবুল এফবিপিএস ,এফবিপিএস (সন্মান)
© Abdul Malek Babul FBPS , Hon FBPS
https://bimboophoto.com/ : 01715298747
https://drive.google.com/drive/my-drive
* Professional and Fine art photo artist *Teacher *Organizer
*Dream weaver * Creator & documentary expert
*National and Internationally renowned leading photo artist
*প্রাক্তন অধ্যক্ষ , বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক ইনস্টিটিউট (বিপিআই)
Former Principal of Bangladesh Photographic Institute BPI
*প্রাক্তন সহসভাপতি বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (বিপিএস)
Former vice president of Bangladesh Photographic Society BPS
*ফেলো এবং আজীবন সদস্য বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (বিপিএস
Fellow and Life member of Bangladesh Photographic Society BPS
*প্রাক্তন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা (বেসামরিক) মেডিকেল ফটোগ্রাফি বিভাগ
আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল সার্ভিসেস ঢাকা সেনানিবাস ,
Former defence officer (civil) Armed Forces Medical Services Dhaka cantonment