তুচ্ছ জিনিষ থেকে মহৎ ও বিস্ময়কর জিনিষ দেখার/ আবিস্কারের ছোখ অর্জন করতে হবে !
.
……………………………………………………..
গত ১৪ আগষ্ট বিকেলে গিয়েছিলাম প্রিয় দার্শনিক বাউল লালনের মাঝার আখড়ায় কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় আসার পথে । গিয়ে দেখি লোহার গেট তালা বদ্ধ ! মন খারাপ দর্শনার্থীরা ফাঁক দিয়ে উঁকি ঝঁুকি দিয়ে তৃষ্ণার্ত প্রানে একটু জল ঢালার চেষ্টা করছে । ও দিকে এক দল বাউল এক জায়গায় বসে টুং টাং করে অলস সময় কাটাচ্ছে । কেমন আছেন জিজ্ঞেস করতেই একজন বেদনাহত হৃদয়ে বল্লো ভালো নেইগো – আমার সাঁইজী করোনা খাঁচায় বন্দী তাই আমরাও এখন জীবন মৃত্যুর সণ্ধিক্ষণে। আমাদের সুরের গলায় এখন খরা ! দেখে মনে হলো ওদের ক্ষুধার রাজ্যে পুর্নিমার চাঁদও যেন এখন ঝলসানো রুটি ! তবে কতৃপক্ষের মুখে শুনেছি আগামী ১৯ আগষ্ট থেকে লালন মেলা উন্মুক্ত হবে সবার জন্য।
আমারও মনে ছবি তোলার প্রবল কামনা । লোহার মোটা মোটা শিকের ফাঁক দিয়ে কিভাবে মাঝারের একটা ভালো ছবি তুলবো ! মগজের ভেতরের ক্রিয়েটিভ পোকা গুলো বলতে শুরু করলো ভিন্ন কিছু ছিন্তা করো – কিছুক্ষণ পায়চারি করে হঠাৎ ছোখে পড়লো গেটের ভেতর খুব কাছেই একটি মোমবাতি জলছে – ভাবলাম একে ফ্রেম করে দারুন একটা আধ্যাত্মিক কন্সেপ্টের ছবি হতে পারে । তারপর শিকের ফাঁক দিয়ে ক্যামেরা ঢুকিয়ে ওয়াইড এঙ্গেল লেন্সে (১০-২০ মি মি) অনেক গুলো ছবি তুলেছি । সত্যি তোলার পর দেখলাম প্রজ্জলিত মোমবাতিটিই হচ্ছে দিব্য জ্ঞানের দার্শনিক লালন ! পেছনের মাঝার থেকে উঠে এসে আমার সাথে কথা বলছে ! যিনি এখন বিশ্বের তাবৎ গবেষকদের গবেষণার বিস্ময়।
LALON MAJHAR KUSTIA DURING LOCKDOWN CLOSED – 14 AUG 2021