মুমুর্ষ নদী তুরাগের নাড়ী ভুঁড়ি পঁচা দুর্গন্ধের অনুরনন বনাম
গোলাপ বাগানের সুগন্ধ দসমীরন
The dirty smell of death ill river Turag vs
the sweet smell of rose garden …
……………………………………………………………..
আজ ১ মার্চ ২১ এর সকাল। ভাসছি মুমুর্ষ নদী তুরাগের বুকে দিয়াবাড়ী ঘাট থেকে গোলাপ বাগানের পথে – নিরব প্রকৃতির ভোরের মৃদু্মন্দ বাতাস তুরাগের রাসায়নিক পানির পঁচা দুর্গন্ধে্র কারাগারে বন্দী – আমার নির্মল নিস্পাপ নিঃশ্বাস গুলোও নোংরা দুর্গন্ধে ভারী হচ্ছিলো ধীরে ধীরে – অভিশাপ দিচ্ছিলো নদীখেকো
ডাকাত , কারখানার বর্জ্য ফেলা অমানুষ ,ময়লা-আবর্জনা ফেলা অসচেতন মানুষ , সভ্যতার মোড়কে অসভ্য সমাজ আর নদী সংস্কারে দুরর্নীতির আখড়াকে । এক হাতে আমার মোবাইলে চলছিল সেলফি ভিডিও _ অন্য হাতে এস এল আর ক্যামেরায় সাটারের ঝড় ।। এত কিছুর পরেও আলোকচিএের আলোয় একাকী সকালটা ছিল বেশ জ্যোতির্ময় – ভীষন উপভোগ্য !!
বিশেষ করে গোলাপ বাগানে প্রবেশ করার পর ঝিরিঝিরি দক্ষিনা সমীরনের ছন্দ তালে দোলায়িত গোলাপের উষ্ণ গন্ধভরা আলিঙ্গন এবং বাগানের স্রষ্টা টগবগে যুবক সবুর (যে তার বাবার ছায়ায় থেকে বড় দুই ভাই ও চারজন দক্ষ সহকারী নিয়ে বছরে এক লাখের বেশী গোলাপের চারা উৎপাদন করে বাজারজাত করে – সাথে ফুটন্ত গোলাপের সাম্রাজ্যতো আছেই) এবং একান্ত আটপৌরে শাড়ী পরা তার মায়ের শিক্ষনীয় ভদ্র আচরনের সাথে সাথে গাছ থেকে পাকা বরই পেড়ে অতিশয় সরল মাতৃসুলভ আপ্যয়নে মুহুর্তেই প্রান রসে পরিপুর্ন হয়েছিল আমার দেহ মন । তুরাগের নোংরা কালো পানীর পঁচা দুর্গন্ধের আবহ এই গোলাপের স্বরগে এসে তৈরী করেছে এক অলৌকিক মিষ্টি গন্ধের মোহনীয় পরিবেশে
