বাবা ধর্ম – বাবা স্বর্গ – বাবাই পরম তপস্যা – Baba (father ) is religion , baba is heaven

Title : বাবা ধর্ম – বাবা স্বর্গ – বাবাই পরম তপস্যা

Caption : আবেগ ,মমতা আর দায়িত্ববোধের অন্তরালে যেথায় বিরাজ করে স্বর্গ নামের বসুমতি ঃ
Baba (father ) is religion , baba is heaven and baba belongs to a man of worship – Where the heaven lives in the core of sons/daughter s’ love , sacrifice and responsibilities to the parents baba / ma (father /mother) .
.
Description : A responsible and beloved son pushing the oldest aged father’s wheel chair toward the train who will leave just now from komolapur railway platform Dhaka Bangladesh at the farewell time .
after spending three months lockdown life the bangladesh rail way starts the movement from komolapur railway station to over all places of the country . the images telling the story of son and father’s deepest love and kinship and the responsibility of a son to his parents .really it’s making a deference touch to my soul and makes a rare heaven in the viewers interpretations .
the story happened on 06 june 2020 morning while the severe COVID 19 storm beating the whole world with myriad casualties !

পৃথিবী জুড়ে চলছে (কোভিড ১৯) তান্ডভ ! মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হচ্ছে প্রতি দিবসে অগনিত মানুষ ! লকডাউনের বন্দীশালায় অবরুদ্ধ ধরনী ! করোনা ভাইরাস নামক এক ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র অনুজীবের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্থ স্বচ্ছল, অতি স্বচ্ছল মানব সমাজ কোয়ারনটাইন নামের বাড়ীর খঁচায় কাটাচ্ছে আয়েশী বন্দী জীবন! আর গরিব, দুঃখী ,কর্মহীন, খেটে খাওয়া পেশাজীবি মানুষ বেঁচে থাকার লড়াইয়ে দিশে হারা !গত চার মাস (মার্চ ২০২০ থকে জুন …? ) ধরে চলছে মানব ইতিহাসের এক ভয়াবহ মানবেতর অধ্যায় ! মানব সভ্যতার পিঠ ঠেকে গেছে শক্ত দেয়ালে ! প্রবল অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি এখন ক্ষয়িষ্ণু করোনা পৃথিবী !
শারীরিক , মানসিক ও ক্ষুদার যন্ত্রনায় ধৈর্যহারা মানুষ তাই করোনা ভয় উপেক্ষা করে বাঁচার তাগিদে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে সড়কে, লোকালয়ে কর্মস্থলে ! বিশ্বব্যাপী সরকার গুলো তাই একান্ত বাধ্য হয়েই মানবিক কারনে অবারিত করে দিতে শুরু করেছে সরকারী – বেসরকারি সব কর্মযজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠান সমুহের দ্বার ! তবে করোনা ভাইরাসের আক্রমন প্রতিহত করার জন্য স্ব স্ব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের জন্য দেয়া হয়েছে কঠোর নির্দেশনা ।

বাংলাদেশের মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ও তাই সাধারন মানুষের কথা মাথায় রেখে তাবৎ পৃথিবীর সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজস্ব ধ্যান ধারনা ও নিয়ম নীতির আঙ্গিকে খুলে দিতে শুরু করেছে জীবন যাপনের সব কর্মসংস্থান কেন্দ্র ও প্রতিষ্ঠান গুলো !
এরই ধারা বাহিকতায় খুলে দেয়া হয়েছে বংলাদেশে সাধারন যোগাযোগের সবচেয়ে গুরুত্ত্বপুর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বংলাদেশ রেলওয়ে – খুলে দেয়া হয়েছে কমলাপুর রেল স্টেশন যা সমগ্র দেশব্যাপী যোগাযোগের একমাত্র মধ্যমণি । সরকার নির্দেশিত সকল নিয়ম কানুন ও স্বাস্থ্যবিধি অত্যন্ত সুশৃংখল ভাবে মেনে চলছে ট্রেন । একজন আলোকচিত্র শিল্পী হিসেবে আলোর রেখায় গল্প নির্মাণের প্রবল আবাহনে এবং হৃৎ কলমের টানে গত ০৬ জুন ২০২০ ভোর বেলায় গিয়ে আমি সে সব দৃশ্য গুলোই প্রান ভরে দেখেছি আর দ্বীর্ঘ দিনের চলাচল বন্দীত্ব কাটিয়ে মানুষের ভ্রমন ব্যস্ততা, আবেগ আর মানবিক অনুভুতি গুলো আপন মনে ছবির মালায় গেঁথেছি । এ যেন করোনা ভাইরাসকে জয় করে এক নতুন পৃথিবীর পথে দুর্বার এগিয়ে চলার এক দৃঢ় সংকল্পের বিস্ময়কর বহিঃপ্রকাশ !
যে মানবিক ,আবেগময় এবং উদার দায়িত্ববোধের চিত্রায়ন আমি সেদিন সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফরমে করেছি তা এক অবিস্মরনীয় চিত্রধারা হিসেবে আমার অনুভুতিতে – মনো জগতে খোদাই করা থাকবে চিরকাল !
বসে আছি ফ্ল্যটফরমে ক্যামেরার ভিউফাইন্ডারে ছোখ রেখে ! হঠাৎ করেই আমার ক্যামেরা যেন এক অজানা – অলৌকিক অনুভূতির টানে হারিয়ে গেল বাবা – ছেলের ভালোবাসার স্বর্গধামে ! স্বয়ংক্রিয় এবং অবচেতন মনেই যেন আমার ক্যামেরা ছবি তোলা শুরু করেছে বাবা আর ছেলের প্রতিটি দুর্লভ মুভমেন্টের ।
এক যুব বয়সী ছেলে হুইল চেয়ারে বসা তার অশীতিপর বৃ্দ্ধ বাবাকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের দিকে ; সাথে তার মমতাময়ী মা এবং তার এক বন্ধু যিনি বন্ধুর চলৎ শক্তিহীন বাবাকে ট্রেনে উঠিয়ে দিতে তাকে সংগ দিচ্ছেন। এগিয়ে যেতে যেতে কিছুটা দূরে গিয়ে তাদের নিদ্দিষ্ট কক্ষের দরজায় গিয়ে এক সময় হুইল চেয়ারটা থেমে গেল ! আমার ক্যামেরাও তাদের অনুসরন করতে থাকলো অনবরত ক্লিকের তালে তালে । তার পর করোনা স্বাস্থ্য বিধির কার্যক্রম শেষে ট্রেনে উঠার সে এক সকরুন পর্ব এবং বিদায় মুহুর্তে মা ছেলের মর্মস্পর্শী আবেগঘন দৃশ্যের অভূৎপূর্ব মুহুর্তের চিত্রায়ন । চলুন পুরো গল্পটি আমরা উপভোগ করি চিত্রময় আলোকচিত্রের যাদুকরী চিত্রধারায় ……………………………………………….