ডক্টর আবুহেনা মোস্তফা কামাল Dr Abu Hena Mustafa Kamal

ডক্টর আবুহেনা মোস্তফা কামাল
#Dr_Abu_Hena_Mustafa_Kamal
# বহু বছর আগে ৮০ র দশকের মাঝা মাঝি একবার শিল্পকলা একাডেমী মঞ্চে আমাদের জাতীয় কবি নজরুলের জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনায় অংশ নিতে গিয়ে মঞ্চে উঠেই বলেছিলেন ‘ নজরুল সম্বন্ধে এই স্বল্প সময়ে আলোচনা করাতো দূরে থাক – শুরু করাই সম্ভব নয় ‘
লেখক , কবি প্রাবন্ধিক হিসাবে ওনি আমার অন্যতম প্রিয় ব্যক্তিত্ত্ব ছিলেন – তবে কিছুটা রোমান্টিক কবি হিসেবে ছিলেন বেশী প্রিয় – ‘ বলো তুমি কার জন্য ভোরের দর্পনে মুখ দেখে  টিপ পরেছিলে নিটোল কপালে ! বই খাতা ছুঁড়ে ফেলে বলেছিলে যাবোই যাবোই – ………………………………? এটা ভদ্র পাড়া ; এখানে নিষিদ্ধ সব কোকিলের গান ‘………।। অনেক অনেক শ্রদ্ধা নিবেদন করছি ।।
God bless this great personality to the highest pick of grand heaven ..

#বাংলাদেশ _জাতীয়_আলো্কচিত্র_শিক্ষা_প্রতিষ্ঠান_আন্দোলন -সফল হউক #Bangladesh#National_Institute_of_Photography_ (BNIP )_movement
© #আবদুল মালেক বাবুল এফবিপিএস , এফবিপিএস (সন্মান)
© #Abdul Malek Babul FBPS Hon FBPS
https://www.facebook.com/groups/363821067364826/
https://bimboophoto.com/
*প্রাক্তন অধ্যক্ষ (অবৈতনিক) – former principal (BPI)
বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক ইন্সটিটিউট (বিপিআই)
*প্রাক্তন সহসভাপতি এবং আজীবন সদস্য – VP & life member (BPS)
বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (বিপিএস) +
*প্রাক্তন বেসামরিক কর্মকর্তা – former civil officer (AMC)
আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল সার্ভিস
প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় , ঢাকা সেনানিবাস , ঢাকা ।

#ডক্টর আবুহেনা মোস্তফা কামাল Dr Abu Hena Mustafa Kamal
বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, সংগীতের সঙ্গে পরিচিত মানুষজন অনেকেই আমার বাবাকে চেনেন। তিনি প্রয়াত শিক্ষাবিদ এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জনাব আবু হেনা মোস্তফা কামাল। ছাত্র জীবনে তুখোড় ছাত্র, অসাধারণ গীতিকবি। অসাধারণ বাগ্নী এবং নীতিবান একজন মানুষ যাকে কাছ থেকে যত দেখেছি ততই মুগ্ধ হয়েছি। ছোটখাটো একটি মানুষ কিন্তু এমন তীব্র ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ছিলেন যে অনেক রাঘববোয়াল তাঁর সামনে এসে অতি সাধারণ হয়ে যেত। যে কোন আসরে তিনি হতেন মধ্যমণি এবং তাকে ঘিরে রঙিন প্রজাপতির মতো ভিড় করত ভক্ত-অনুরাগী, চেনা, অচেনা মানুষজন। তিনি আত্মভোলা, খেয়ালি ছিলেন। টাকার ব্যাপারে তাঁর বিন্দুমাত্র আকর্ষণ ছিল না। এখনো যখনই তার কোন বন্ধু, ছাত্র বা ভক্তের সঙ্গে মিলিত হই অদ্ভুত অদ্ভুত সব গল্প শুনি তার সম্পর্কে। প্রতিটি গল্পই ইন্সপায়ারিং। এক অসামান্য মানুষকে উন্মোচিত করে নতুন করে আমার চোখের সামনে নিয়ে আসে। আশির দশকের শুরুর দিকের ঘটনা, তখন প্রফেসর ফজলুল হালিম চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। আমরা থাকি ফুলার রোডের চার তলার একটি ফ্ল্যাটে। তখন মোবাইলের যুগ নয়। আমাদের বাসায় কোন টেলিফোন ছিল না এবং টেলিফোন তখন খুব কম লোকের বাসায়ই ছিল। একদিন বাবাকে পাওয়া যাচ্ছে না, সকাল থেকে তিনি উধাও তো উধাও। এদিকে দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক কায়েসউদ্দীন এসেছেন বাসায় আব্বারই আমন্ত্রণে, দুপুরে তার মধ্যাহ্নভোজের দাওয়াত। কায়েস চাচা আব্বার অনুপস্থিতিতে খাবেন না। শেষমেষ আব্বার দেরি দেখে তিনি বাধ্য হয়ে খেতে বসলেন কারণ তার ট্রেণ ধরতে হবে। এদিকে দুপুর, বিকেল যখন গড়িয়ে গেল, আমার আম্মা খুব ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে গেলেন। কারণ বাবা সবসময়ই আমাদের অবহিত রাখতেন যে তিনি কোথায় আছেন? আমার বড় বোনকে পাঠানো হল উপাচার্য ফজলুল হালিম চৌধুরীর বাসায়। চৌধুরী চাচা আশ্বস্ত করলেন, কোথাও আছে ফিরে আসবে কিন্তু চাচী অতি দ্রুততার সাথে পুলিশ স্টেশন, হসপিটাল এবং অন্যান্য জায়গায় খোঁজ নেয়া শুরু করলেন কিন্তু আব্বাকে পাওয়া গেল না। এরপর বেশ রাত করে তিনি বাসায় ফিরলেন। জানা গেল তিনি বাংলাদেশ বেতারে গিয়েছিলেন। এবং বেতারের একজন ডিরেক্টর তাকে দুটি ফ্লাষ্ক ভর্তি চা এবং কফি এবং দুই প্যাকেট সিগারেট দিয়ে একটি ঘরে বন্ধ করে দিয়েছিলেন কাগজ-কলম সহ চারটি গান লিখে দেওয়ার জন্য। বিশেষ অনুষ্ঠানের গান। ঠিক কবি কাজী নজরুল ইসলামকে দিয়ে যেভাবে গান লেখানো হতো। চারটি গান লিখে দিয়ে অবশেষে তিনি অবমুক্ত হয়েছিলেন। মজার ব্যাপার হল সে সব গানের কোনো কপি তিনি নিজের কাছে রাখেন নাই, কখনোই রাখতেন না, যে কারণে তার অনেক গান এখনো খুঁজে পাওয়া যায় না। নজরুলের মতোই বলতেন সাগর থেকে এক ঘটি জল নিলে সাগরের কিছু আসে যায় না। এই সাগরসম মানুষটিকে ভীষণ মিস করি, ভীষণ। বাবা দিবসে বাবাকে আমার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা।

Sujit Mustafa
June 21 – 2020

FB status