*আবার কি আসবে সমবেত প্রানের সুর মুর্চনায় মিলাদে মহানবী(সঃ) ? সালাম বিনিময়ে সার্বজনীন আকর্ষন-বিকর্ষন ? শান্তির স্বর্গ হবে ধরনী*




আমার মৌলভী এবং ইমাম দাদা ও বাবাকে দেখেছি মসজিদ বা ধর্মীয় আচার সংক্রান্ত যে কোন পারিবারিক , সামাজিক অনুষ্ঠানে সমবেত ভাবে সুর করে আরবী-বাংলা কেয়ামের মাধমে মহানবীর (সঃ) শানে মিলাদ পড়তে এবং পড়াতে। এর প্রচলন আমাদের বাঙ্গালী মুসলমান সমাজে ছিল একটি অনবদ্য আধ্যাত্মিকতায় হারিয়ে গিয়ে মহানবী(সঃ) এবং আল্লাহর সাথে এক সর্গীয় আবহে বিলীন হয়ে যাওয়ার এক সার্বজনীন প্রক্রিয়া। বিশেষ করে শিশু, কিশোর এবং তরুনদের এই মিলাদ প্রচলন দারুন ভাবে আকৃষ্ঠ করতো মহানবীকে (সঃ) জানার এবং ইসলামের প্রতি অনুরাগী হয়ে উঠার ক্ষেত্রে ! কিন্তু বর্তমান সময়ে বহুধা বিভক্ত মোল্লা-মৌলভীদের বদৌলতে মিলাদের সেই আকর্ষনীয় আবহ একেবারেই হারিয়ে গেছে এখন মৌলভীরা কোথাও সুর করেতো দূরে থাক মিলাদই পড়াননা ! তাই আবাল-বৃ্দ্ধ-বনিতা মিলাদের মাধ্যমে সমবেত আত্মায় বিলীন হয়ে একই সুরের ঐকতানে মহানবী (সঃ) কে সালাম জানানোর মাধ্যমে নিজেদের পারস্পরিক সালাম বিনিময় চর্চা থেকে বঞ্চিত, যা সমাজে নানা শ্রদ্ধা , বিনয়, সৌজন্য ও মানবতা বোধহীন সংস্কৃতির জন্ম দিয়ে মুল্যবোধের অবক্ষয় তৈরী করেছে!তাই পারস্পরিক সালাম বিনিময় চর্চা এবং পুর্বের ন্যায় সুর মুর্চনায় সমবেত মিলাদ পড়ার সংস্কৃতি আন্তরিক উদ্দীপনার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনতে পারলেই উচ্চসিত তারুন্য উৎসাহিত বোধ করবে , ধর্মীয় অনুশাসন অনুসরনে আকৃষ্ট হবে এবং চরমভাবে ভাবে নৈতিক অবক্ষয়ে উজাড় হওয়ার আগেই বহুলাংশে রক্ষা পাবে সমাজ , সংসার , জগৎ । এটা সম্পুর্নই আমার সোনালী স্মৃতির ব্যক্তিগত আবেগ, অনুভুতি ও মতামতের বহিপ্রকাশ । তবে একটা প্রশ্ন অবশ্যই আছে কেন সব হারিয়ে গেছে কেন হয়না আগের মত ?